মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার করার উপায় ২০২৪ এ
আজকে ইন্টারনেট প্রযুক্তির যুগে ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচুর টাকা আয় করা যায়। এই আর্টিকেল আমরা আলোচনা করবো মেয়েদের জন্য সেরা ঘরে বসে রোজগার করার উপায় যা তারা ঘরে বসে বা অফিস থেকেও করতে পারবেন।
এখন ছেলেদের সঙ্গে মেয়েরাও এগিয়ে এসেছে সব ব্যাপারে। তারা প্রমান করেছেন যে তারা ছেলেদের থেকে কোনো অংশে কম নন। আর বর্তমান যুগে মেয়েদের সাবলম্বী হওয়াটা ভীষণ ভাবে জরুরি।
তাই তারা যদি ইন্টারনেট মাধ্যমের সাথে পরিচিত হন , কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাজ করতে পারদর্শী হন তাহলে তারা বাড়ি বসেই ইন্টারনেট মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করতে পারেন।
আসুন জেনে নিই মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় যা তারা ঘরে বসেই শুরু করতে পারেন।
Table of Contents
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়: কনটেন্ট রাইটিং জব

বর্তমান যুগে কনটেন্ট বা তর্থ্য ছাড়া ইন্টারনেট অচল। ইন্টারনেট এ টিকে থাকতে হলে অবশই প্রচুর ভালো, যুগোপযুগী তর্থ্য দরকার। তাই দিনে দিনে কনটেন্ট রাইটার দের চাহিদা বাড়ছে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে ছেলেদের থেকে মেয়েরা এ ব্যাপারে অনেক বেশি সফল। মেয়েদের ধৈয্য ছেলেদের থেকে তুলনামূলক ভাবে বেশি। তাই তারা দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে কনটেন্ট রাইটিং জবটি অনায়াসে করতে পারেন।
এর জন্য শুধু দরকার ইন্টারনেট বিষয়গুলোর সম্বন্ধে জ্ঞান এবং ইংলিশ এর ওপর দক্ষতা।
যদি তাদের ইংলিশ এর ওপর দক্ষতা কম থাকে তাহলে তারা বাংলায় কনটেন্ট লিখেও কাজ শুরু করতে পারেন।
অবশই পড়ুন : কনটেন্ট রাইটিং কি | দারুন কনটেন্ট লেখার ৯+ টি টিপস বাংলাতে 2022
ব্লগিং করে আয়:

আজকের যুগে ব্লগিং শব্দটির সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত। যদি কোনো মহিলা কনটেন্ট রাইটিং এর ওপর দক্ষতা অর্জন করতে পারে তাহলে তিনি নিজের একটি ব্লগ বানিয়ে আর একটি রোজগারের রাস্তা খুলতে পারেন।
যদি আপনার ব্লগটি খুব পপুলার হয় এবং অনেক ভিজিটর প্রতিদিন আপনার ব্লগটি পরে তাহলে আপনি ইচ্ছে করলেই ওই ব্লগটিতে গুগল এডসেন্স বা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ভালো টাকা আয় করতে পারেন।
ইউটুবে থেকে আয়:

ইউটুবে একটি খুব পরিচিত ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম। প্রতিদিন অসংখ্য ভিডিও ইউটুবে এ প্রকাশিত হয় এবং অসংখ্য লোক সেই সব ভিডিও গুলো দেখেন।
মেয়েরা ইচ্ছে করলেই ঘরে বসে ইউটুবে এর একটি চ্যানেল বানিয়ে সেখান থেকে আয় শুরু করতে পারেন।
যে যে বিষয় তাদের আগ্রহ আছে, হতে পারে সেটা রান্না করা, কনটেন্ট রাইটিং বা ফ্রীল্যান্সিন তার ওপর যদি তাদের দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে এই বিষয় গুলো নিয়ে তারা ইউটুবে একটা চ্যানেল বানিয়ে ধীরে ধীরে আয় শুরু করতে পারেন।
ইউটুবে এ চ্যানেল তারা নিজেদের এন্ড্রোইড ফোন থেকেই শুরু করতে পারেন। এর জন্য প্রধান দরকার তাদের ইচ্ছে এবং ধারাবাহিকতা।
অবশই পড়ুন: ইউটিউব থেকে কি করে টাকা আয় করবো
ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয়:

ফ্রীল্যান্সিন করেও ঘরে বসে অনেক টাকা যায় করা যায়। এটা ঘরে বসে যায় করার অন্যতম সেরা উপায়।
এর জন্য প্রথমে যে কোনো একটা বিষয়ের ওপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
সেই জন্য কোনো ভালো ইনস্টিটিউট এ ভর্তি হয়ে নিজের ইচ্ছে মতো কোনো কোর্স করে সেই বিষয় দক্ষতা অর্জন করতে পারেন বা ইন্টারনেট থেকে বিনা পয়সায় বিভিন্ন ভিডিও দেখে , ফ্রি কোর্স করে , ব্লগ পড়ে ধীরে ধীরে কোনো একটি বিষয় শিখতে পারেন।
এর পর অনলাইন যে সব মার্কেটপ্লেস আছে যেমন Fiverr বা Upwork এ একাউন্ট তৈরী করে কাজ পাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
প্রথম দিকে কাজ পেতে একটু দেরি হলেও ধীরে ধীরে যদি চেষ্টা চালিয়ে যান তাহলে একসময় ভালো ক্লায়েন্ট বসে তৈরী করতে পারবেন।
অবশই পড়ুন: কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং কি ভাবে শুরু করবো
বুটিক থেকে আয় করুন:

বর্তমানে বুটিক একটি খুব পরিচিত শব্দ। মেয়েরা ইচ্ছে করলেই বাড়িতে একটি বুটিক বানিয়ে সেখান থেকে আয় করতে পারেন।
যদি আপনার ড্রয়িং এর ওপর আগ্রহ থাকে তাহলে কাপড় কিনে এনে তার ওপর সুন্দর সুন্দর নকশা করে সেগুলো বিক্রি করা শুরু করতে পারেন।
এর জন্য আপনি ফেসবুককে ব্যবহার করতে পারেন।
নিজের একটি ব্র্যান্ড বানিয়ে , ফেসবুক একটি পেজ বানিয়ে সেখান থেকে সেল করুন , ফেসবুক মার্কেটপ্লেস কে ব্যবহার করে সেখান থেকেও সালে করতে পারেন।
ফ্লিপকার্ট বা আমাজন ও সেল করতে পারেন।
এর যদি আর একটু খরচ করতে পারেন তাহলে নিজের একটি ecommerce ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখান থেকে সেল করতে পারেন।
এই সব কটা কাজ কিন্তু বাড়ি বসে অনলাইন এ করতে পারবেন।
খাবার হোম ডেলিভারি ব্যবসা করতে পারেন:

যাদের রান্নার ওপর আগ্রহ আছে তারা খাবার হোম ডেলিভারি ব্যবসা করে ঘরে বসে রোজগার করতে পারেন।
শুরুতে নিজের রান্না বিভিন্ন খাবাবের ছবি তুলে ফেসবুক যে সব লোকাল গ্রুপ আছে সেখানে দিন। সেখানে অবশই আপনার একটি যোগাযোগের নম্বর দিন। ইচ্ছে করলে এই ব্যাবসার জন্য আলাদা একটি সিম কার্ড নিয়ে শুরু করতে পারেন।
এর পর গুগল মাই বিজনেস (Google My Business) নিজের একটি প্রোফাইল বানিয়ে সেখানে নিয়মিত নিজের ব্যবসা সম্পর্কে আপডেট দিতে থাকুন।
যদি আপনার রান্না ভালো হয় , সময় মতো খাবার ডেলিভারি দিতে পারেন তাহলে আস্তে আস্তে আপনার কাস্টমার বাড়বে।
বেকারি ব্যবসা:
যদি আপনি কেক , পেস্ট্রি বানাতে পারদর্শী হন তাহলে হোম ডেলিভারির মতো বাড়িতে একটি বেকারি ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন।
হোম ডেলিভারি মতো এটাও আপনি ফেসবুক, Google My Business এর মাধ্যমে সেল করতে পারেন।
টেলি কলিং:
বর্তমানে অনেক কোম্পানি টেলি কলিং নিয়োগ করে যা বাড়িতে বসে শুধু মাত্র মোবাইল এবং ইন্টারনেটের ম্যাধ্যমে করা যায়।
আপনি যদি যে কোনো একটি ভাষায় পারদর্শী হন, ভালো কথা বলতে পারেন তাহলে এই সব হোম বেসড জব এ এপলাই করে বাড়ি বসে কাজ শুরু করতে পারেন।
যদি ঐসব কোম্পানি কোম্পানি কাজ শুরু করার আগেই আপনাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরী করে নেয় তাহলে আরো ভালো।
যদি কোম্পানিটি ভালো হয় তাহলে বাড়ি বসেই আপনি নির্দিষ্ট সময় কাজ করে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
অনলাইন টিউশন:
করোনা উত্তর কালে অনলাইন টিউশন একটি জনপ্রিয় আয়ের উপায়।
আপনি যদি টিউশন করতে অভস্ত হন তাহলে সহজেই এইট কাজ শুরু করতে পারেন।
ফেসবুক এর বিভিন্ন লোকাল গ্রুপ এ নিজের কাজের সম্পর্কে প্রচার করুন।
যখন স্টুডেন্টরা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে তাদের বাড়ি থেকে মোবাইল বা ল্যাপটপ এর মাধ্যমে শিক্ষা দেন করুন।
ইমিটেশন গয়না থেকে আয়:
বাড়ি বসে শুধু মাত্র অনলাইন এ ইমিটেশন গয়না বিক্রয় করে ভালো টাকা যায় করা যায়।
সে জন্য প্রথমে কিছু গয়না সংগ্রহ করুন।
তার ভালো ছবি তুলে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ এ শেয়ার করুন।
ইচ্ছে করলে ফ্লিপকার্ট , আমাজন গ্রুপ এ বিক্রয় করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে আয়:
বর্তমান যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। আপনি যদি কোনো ভালো ইনস্টিটিউট থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন তাহলে আপনার আয়ের অনেক গুলো দিক খুলে যাবে।
আপনি ভালো কনটেন্ট রাইটিং জব করতে পারেন , কোনো কোম্পানির সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে পারেন।
যদি ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রীল্যান্সিন করেন তাও শুরু করতে পারেন।
যদি ফুড হোম ডেলিভারি বা বেকারি বা অন্য কোনো অনলাইন এ ব্যবসা করতে চান এবং ঘরে বসে রোজগার তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার ব্যবসাকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করবে এবং এর মাধ্যমে আপনি অনেক কম খরচে অনেক বেশি কাস্টমারের কাছে পৌঁছতে পারবেন।
ড্রপ সার্ভিসিং করে আয় :
বর্তমানে ড্রপ সার্ভিসিং করে ভালো টাকা আয় করতে পারেন। ড্রপ সার্ভিসিং হলো কোনো কাজ অন্য কারোকে দিয়ে করিয়ে নিয়ে আপনি কমিশন পাবেন। এক্ষেত্রে আপনার ইন্টারনেট কানেকশন , মোবাইল এবং ল্যাপটপ লাগবে। তার সাথে লাগবে কাজ ধরার ক্ষমতা এবং কোনো ভালো ফ্রীলান্সার খুঁজে বার করা। এই ভাবে আপনি শুধু যোগাযোগ করে দিয়ে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে নিজের একটি এজেন্সী গড়ে তুলতে পারবেন।
মেয়েদের জন্য মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার করার উপায় এর যে তালিকা গুলো দেওয়া হলো আশা করি আপনাদের ভালো লাগলো। ওপরে বর্ণিত কাজ গুলো করতে বিশাল কিছু বিনিয়োগ লাগবে না। লাগবে শুধু একটু জানার আগ্ৰহ এবং একটি মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা।
এফিলিয়েট মার্কেটিং:
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় এর অন্যতম উপায় হতে পারে এফিলিয়েট মার্কেটিং।
এটাও ব্লগিং এর মতো কিন্তু ব্লগিং থেকে অনেকটাই আলাদা। এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি ব্লগ দ্বারা, ইনস্টাগ্রাম, পিন্টারেস্ট, ইউটুবেএর মাধ্যমে করতে পারেন।
আর আপনি যদি প্রসাধনী দ্রব্য, রুপটান বিষয় ভালো জানেন তাহলে এগুলো নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।
অনলাইন এ ক্লিকব্যাংক (clickbank), JVZoo ইত্যাদি ওয়েবসাইট থেকে ভালো প্রোডাক্ট বেছে নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।
তাই মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করার অন্যতম উপায় হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। এই প্রসঙ্গে যদি বিশদ তথ্য জানতে চান তাহলে নিচে কমেন্ট করতে পারেন। আমি এই প্রসঙ্গে একটি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পোস্ট করবো।
ইনস্টাগ্রাম থিম পেজ বানিয়ে আয়:
বর্তমানে ইনস্টাগ্রাম একটি অতি পরিচিত সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম। এখানে আপনারা থিম পেজ বানিয়ে ভালো টাকা আয় করতে পারেন।
এর জন্য কি ধরণের থিম পেজ বানাতে চান তা আগে ঠিক করুন।
যেমন ধরুন: মিনিমালিস্টিক, প্যাস্টেল, পাজেল, ডার্ক কালার, বর্ডার ইত্যাদি।
থিম পেজ বানানোর আগে কোনো একটি প্রোডাক্ট নির্বাচন করুন।
সেটা হতে পারে হেলথ বা স্বাস্থ সম্পর্কিত বা বিউটি বা সৌন্দর্য সম্পর্কিত।
এই সব প্রোডাক্ট এর এফিলিয়েট নিন এবং ইনস্টাগ্রাম এ এই সম্পর্কিত তর্থ্য দেওয়া শুরু করুন।
নিউজ ব্লগ বানিয়ে আয় করুন:
বর্তমানে নিউজ ওয়েবসাইট বানিয়ে ঘরে বসে অনেক টাকা আয় করা যায়।
কিন্তু এর জন্য আপনাদের ধারাবাহিক ভাবে কাজ করে যেতে হবে।
প্রথমে একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে নিউস ওয়েবসাইট বানিয়ে কাজ শুরু করুন।
এ বিষয় আরো জানতে চাইলে অবশই এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
গ্রাফিক্স ডিসাইন করে আয়:
যদি আপনি একজন সৃজনশীল ব্যাক্তি হন তাহলে গ্রাফিক্স ডিসাইন করে ভালো টাকা আয় করতে পারেন।
এর জন্য ইউটুব থেকে ক্যানভা নামে যে টুল টি আছে সেটি ভালো করে শিখুন।
তার পর কোনো একটি নিচ বা বিষয়ের ওপর পারদর্শী হন।
যেমন আপনি গ্রাফিক্স ডিসাইন করেন শুধু মাত্র রেস্তোরাঁ ব্যাবসার জন্য।
এর পর ইনস্টাগ্রাম এ একটি একাউন্ট খুলে আপনার কাজের নমুনা গুলো পোস্ট করা শুরু করুন।
তার সাথে আপনার নিচ সম্পর্কিত লোকেদের সাথে যোগাযোগ করা শুরু করুন।
পিন্টারেস্ট থেকে আয় করুন:
পিন্টারেস্ট থেকেও ভালো উপার্জন করতে পারেন।
প্রথমে পিন্টারেস্ট এ একটি ব্যাবসায়িক একাউন্ট খুলুন।
তারপর কোনো একটি নিচ ধরে কনটেন্ট দেওয়া শুরু করুন।
এর পর একটি ভালো প্রোডাক্ট খুঁজে বার করে সেটির ওপর পিন্টারেস্ট এ কনটেন্ট দেওয়া শুরু করুন।
পিন্টারেস্ট এসইও নিয়ে পড়াশুনো করুন এবং পিন্টারেস্ট কে কেন্দ্র করে ভালো টাকা আয় করুন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স করে অনলাইন এ আয় করুন:
যদি আপনি ইংলিশ এবং ইন্টারনেট এর ব্যবহার বিষয় পারদর্শি হন তাহলে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স এর কাজ করে মাস গেলে ভালো টাকা আয় করতে পারেন।
এর জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্সরা কি কি কাজ করে থাকে তার বিষয় ভালো ধারণা থাকতে হবে।
তার পর আপনি অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে বা ফেসবুক গ্রুপ গুলো থেকে কাজ যোগাড় করতে পারবেন।
বলা বাহুল্য যে এগুলো সাধারণত বিদেশের কাজ এবং আপনি ভালো করে চেষ্টা করলে ডলার এ আয় করবেন।
ভিডিও এডিটিং শিখে আয়:
বর্তমানে আমরা টেক্সট বা লেখা বিষয়ের থেকে ভিডিও বেশি পছন্দ করি।
আপনি ইচ্ছে করলেই ইউটুব থেকে ভিডিও এডিটিং শিখে ঘরে বসে ভালো অর্থ আয় করতে পারেন।
যে কোনো একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর ওপর দক্ষতা তৈরী করে তার ওপর বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরী করে ইনস্টাগ্রাম, লিঙ্কেডিন দেওয়া শুরু করুন।
তার পর যখন দক্ষতা বাড়বে তখন বিভিন্ন লোকের সাথে যোগাযোগ করে তাদের আপনার সার্ভিসটি নিতে অনুরোধ করুন।
ফিটনেস ট্রেনার হিসেবে আয়:
আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হন তাহলে এর ওপর পড়াশুনো করে অনলাইন আয় করতে পারেন।
আরো ভালো হয় যদি কোনো ডিগ্রী বা ডিপ্লোমা করে নিতে পারেন।
এর পর এর ওপর বিভিন্ন শিক্ষামূলক ভিডিও ইনস্টাগ্রাম বা ইউটুব এ প্রকাশ করতে পারেন।
এর ওপর যখন আপনি ভালো প্রচার পেয়ে যাবেন তখন কন্সালটেন্সি সার্ভিস বা কোনো প্রোডাক্ট বা কোর্স বিক্রয় করে ভালো টাকা অনলাইন এর মারফত যায় করতে পারবেন।
ভয়েস ওভার আর্টিস্ট:
যদি আপনার কণ্ঠস্বরটি মাইক্রোফোন এ খুব সুন্দর শোনায় তাহলে আপনি ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।
এ ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন পডকাস্ট বা ভিডিও এড কণ্ঠ দিয়ে রোজগার করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনার উচ্চারণনের স্পষ্টতা থাকা জরুরি।
ফাইভার এ ২৪০০০+ সার্ভিস আছে ভয়েস ওভার এর ওপর।
ইচ্ছে করলে এটি শুরু করতে পারেন এবং ঘরে বসে ডলার ইনকাম করতে পারেন।
মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে আয়:
যদি আপনি সাজগোজ করতে ভালোবাসেন এবং সাজগোজের ব্যাপারে অনেক খবর রাখেন তাহলে একজন ভালো মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।
তবে এ ক্ষেত্রে কোনো একটি প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট থাকলে ভালো হয়।
এর পর আপনি নিজের কাজ গুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার করে অনেক কাজের সন্ধান পেতে পারেন এবং বিভিন্ন ভাবে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
ফোটোগ্রাফি করে আয়:
যদি আপনি ছবি তুলতে ভালো বসেন তাহলে এটিকে পেশা হিসেবে তুলে ধরতে পারেন।
কোনো একটি প্রতিষ্টান বা কারোর কাছ থেকে হাতে কলমে কাজ শিখলে আরো ভালো হয়।
এর পর আপনি আপনার কাজ গুলো অনলাইন মাধ্যমে তুলে ধরুন। বিশেষত ইনস্টাগ্রাম এবং পিন্টারেস্ট এ।
এর পর আপনি আপনার কাজটি যাদের যাদের লাগতে পারে বলে মনে করছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করা শুরু করুন।
কুকুরদের ক্রেচ করে আয়:
শুনতে একটু অদ্ভুত লাগলেও শুধুমাত্র কুকুদের ক্রেচ বানিয়ে বাড়িতে বসে ভালো টাকা আয় করা যায়।
আপনার যদি সত্যি কুকুর বেড়াল ভালো লাগে এবং আপনার বাড়িতে যদি একটি অতিরিক্ত ঘর থাকে তাহলে কুকুরদের ক্রেচ বানিয়ে ভালো টাকা আয় করতে পারেন।
অনেকেই বাইরে গেলে তাদের আদরের পোষ্যটিকে আপনার কাছে রেখে যেতে পারবেন।
এদের যথাযত ভাবে যত্ন করতে হবে কিন্তু।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে আপনার এই নতুন ব্যবসাটি প্রচার করতে পারেন।
শুরুতে একটু কম হলেও ধীরে ধীরে আপনি যদি ভালো পরিষেবা দেন তাহলে আপনার ব্যবসা বাড়তে বাধ্য।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় – বাড়িতে বসে প্যাকিং কাজ:
যে কোনো বড়ো বড়ো কোম্পানির জিনিস বাড়িতে বসে প্যাকিঙ করে আয় করতে পারেন। এর জন্য একটি কোম্পানিতে যোগাযোগ করে কাজ শুরু করতে পারেন।
এক্ষেত্রে এই ভিডিও টি দেখতে পারেন।
বলে রাখা ভালো যে এই ভিডিওটির সত্যতা কিন্তু আমি যাচাই করি নি।
তাই ভালো করে জেনে বুঝে শুরু করবেন।
ওপরে যে বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করলাম সেগুলো বেশির ভাগ আপনারা বাড়িতে বসে একটি মোবাইল বা ল্যাপটপ এর মাধ্যমে শুরু করতে পারেন।
*ওপরের বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে কমেন্ট করুন।
আমি এর ওপর বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবো।
বাড়িতে বসে মেয়েদের কাজ
আশা করি এই আর্টিকেল টি পড়ে আপনারা অনেক উপায় পেলেন বাড়িতে বসে মেয়েদের কাজ করার ওপর। তাই আর দেরি না করে আজ থেকেই শুরু করুন যে কোনো একটি কাজ।
তাই আর চিন্তা ভাবনা না করে আজ থেকেই শুরু করুন এবং আগামী বছর টি আপনার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর হিসেবে গড়ে তুলুন।
আমার নাম অরিন্দম ঘোষ। আমি এই ওয়েবসাইট এর প্রতিষ্ঠাতা। পেশায় আমি একজন ওয়েবসাইট ডিজাইনার এবং ব্লগিং আমার প্যাশন। আমি এই সাইট এ ব্লগিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, আর্ন মানি অনলাইন বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট করে থাকি। এই সাইট এর মূল লক্ষ্য হলো বাংলাতে কোয়ালিটি কনটেন্ট প্রকাশ করা যা সাইট এর ভিসিটার দের কাজে লাগে।
আমি সরোজ ঘোষ। পূর্ব বর্ধমান থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরে শোনপুর গ্রামে বাড়ি,আমি ব্লগ তৈরী করে গ্রোসারী ও ইলেকট্রনিক এর লেটেষ্ট আইটেম আমাজন, ফ্লপকার্ট, বা বিগ ব্সকেটের মত কোং র সাথে কুরিয়ির সার্ভিস মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রোডাক্ট সেল করতে চাই। তাই সাহায্যের দরকার।8926434902